,

চুনারুঘাটে পিঠা বিক্রির ধুম

চুনারুঘাট প্রতিনিধি : চুনারুঘাটে শীত আগমণে ভাপা ও চিতই পিঠা তৈরির ধুম পড়েছে। উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে চিতই পিঠার সঙ্গে সরিষা বাটা ভর্তা, কাঁচা মরিচের ভর্তা, শুঁটকির ভর্তা ও হরেক রকমের সুস্বাদু ভর্তা দিয়ে খাওয়ার স্বাদ নিচ্ছেন ক্রেতারা। ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা ১০ টাকা, লালিগুড়ের পিঠা ১৫ টাকা ও ডিম দিয়ে ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে নারিকেল, গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা ১০ টাকা ও ১৫ টাকা দামে বিক্রি করছে পিঠা বিক্রেতারা। অনেকেই পিঠার স্বাদ পেতে পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সকাল-সন্ধ্যা ফুটপাতের রাস্তার পাশে লাইনে দাঁড়িয়ে পিঠা খাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এই শীত মৌসুম এলেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে আমন ধান তোলার সাথে সাথে কিষানিরা নানা ধরনের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতেন। সারাদিন ধান উঠানোর কাজে ব্যস্ত থাকলেও ভোরবেলায় ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, তেল পিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা তৈরি করতেন। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাসাবাড়িতে পিঠা তৈরি না করায় গ্রামের হাটবাজারে গিয়ে অনেকেই নানা ধরনের পিঠা কিনে খাচ্ছেন এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। চুনারুঘাট পৌরশহরের উত্তর বাজারে চিতই পিঠা বিক্রেতা ছায়েদ মিয়া বলেন, শীত এলেই ভ্যান গাড়ি করে পৌরশহরের ফুটপাতের রাস্তায় এই মৌসুমী চিতই পিঠা বিক্রি করি। এবার সব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ভর্তা পিঠা ১০টাকা, লালিগুড়ের পিঠা ১৫ টাকা ও ডিম দিয়ে ৩০ টাকা দাম আর ভাপা পিঠা ১০ টাকা ও ১৫ টাকা দাম নেয়া হচ্ছে। একই কথা বলেন পৌরশহরের মধ্য বাজার গোলচত্বরে ভ্যান গাড়ি করে ভাপা পিঠা বিক্রেতা এরশাদ মিয়া। তারা জানান, ফুটপাতের রাস্তায় ভ্যানগাড়িতে সিলিন্ডার গ্যাসের চুলায় পিঠা তৈরি করে দৈনিক ৩শ থেকে ৪শ টাকা রোজগার করতে পারেন।


     এই বিভাগের আরো খবর